সোমবার, ২৬ মে ২০২৫, ০৮:২৯ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন, রাজনৈতিক দলকে জানালেন প্রধান উপদেষ্টা শুনানির তারিখের আগেই জামিন পেলেন নুসরাত ফারিয়া বাহুবলে বিভিন্ন স্থানে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২, আহত অর্ধশত বাহুবলে কৃষি ব্যাংকের উদ্যোগে প্রকাশ্যে ঋণ আদায় ও বিতরণ কার্যক্রম সম্পন্ন বাহুবল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিজেই অসুস্থ বানিয়াচংয়ে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে আহত অর্ধশতাধিক বাহুবলে শিশু সাংবাদিকতা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে ক্ষোভে উত্তাল বাহুবল বাহুবলের বক্তারপুর গ্রামে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত বাহুবলে “ইউসেব ট্যালেন্ট হান্ট-৪.০” অনুষ্ঠিত

প্রিয়া সাহা আমার তথ্য বিকৃত করেছেন: ড. বারকাত

তরফ নিউজ ডেস্ক : অর্থনীতিবিদ ড. আবুল বারকাতের নাম উল্লেখ করে প্রিয়া সাহা তথ্য-উপাত্ত বিকৃতভাবে উপস্থাপন করেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। তার নাম করে যে বক্তব্য প্রিয়া সাহা দিয়েছেন তা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন আবুল বারকাত।

সোমবার (২২ জুলাই) এক বিবৃতিতে তিনি এ দাবি জানান।

বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সভাপতি ড. আবুল বারকাত বিবৃতিতে বলেছেন, প্রিয়া সাহা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ পত্র-পত্রিকায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের দেশত্যাগ ও সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আমার নাম উল্লেখ করে কিছু তথ্য-উপাত্ত বিকৃতভাবে উপস্থাপন করেছেন। বিষয়টি আমার নজরে এসেছে।

‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে প্রিয়া সাহা  বলেছেন, ‘বাংলাদেশ থেকে ৩ কোটি ৭০ লাখ সংখ্যালঘু নিখোঁজ রয়েছেন। এরপর ভিডিও সাক্ষাৎকারে তিনি আমার নাম উল্লেখ করে বলেছেন, উল্লেখিত পরিসংখ্যান আমার গবেষণাউদ্ভূত তথ্য-উপাত্তের  সঙ্গে মিলে যায় (অথবা একই)। তিনি এও বলেছেন, বাংলাদেশ থেকে প্রতিদিন ৬৩২ জন লোক হারিয়ে যাচ্ছে। ২০১১ সালে স্যারের সঙ্গে সরাসরি কাজ করেছিলাম, যার কারণে বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবহিত।’

ড. আবুল বারকাত বলেন, প্রিয়া সাহার উপরোক্ত বক্তব্যের সঙ্গে আমার গবেষণার তথ্য-উপাত্তের কোনো মিল নেই। আমার গবেষণায় যা আছে, তা হলো- আমার হিসাবে প্রায় ৫ দশকে ১৯৬৪ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত  আনুমানিক ১ কোটি ১৩ লাখ হিন্দু ধর্মাবলম্বি মানুষ নিরুদিষ্ট হয়েছেন। (উৎস: আবুল বারকাত বাংলাদেশে কৃষি ভূমি জলা সংস্কারের রাজনৈতিক অর্থনীতি-২০১৬)। অর্থাৎ, আমি কোথাও ৩ কোটি ৩৭ লাখ সংখ্যালঘু নিখোঁজ রয়েছেন আমি বলিনি। উপরন্তু তিনি কোথাও বললেন না, আমার গবেষণা তথ্যটির সময়কাল ৫০ বছর (১৯৬৪ থেকে ২০১৩ সাল)।

‘প্রিয়া সাহা কখনও আমার সহ-গবেষক, গবেষণা সহযোগী অথবা গবেষণা সহকারী ছিলেন না। ২০১১ সালে সরকারি আদমশুমারি তথ্যের  ভিত্তিতে ১৯০১-২০০১ সাল পর্যন্ত  ধর্মগোষ্ঠীর আনুপাতিক হার উল্লেখ করেছি মাত্র। একজন সমাজ গবেষক হিসেবে আমি নিশ্চিত হতে চাই যে, প্রিয়া সাহা আমার নাম উল্লেক করে যেসব বিভ্রান্তিমূলক ও নীতি গর্হিত  বক্তব্য দিয়েছেন তিনি অতি দ্রুত তা প্রত্যাহার করে নেবেন।’

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

ওয়েবসাইটের কোন কনটেন্ট অনুমতি ব্যতিত কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design & Developed BY ThemesBazar.Com